ট্রাইকোমনিয়াসিস

ট্রাইকোমনিয়াসিস (Trichomonasis)

ট্রাইকোমনিয়াসিস মহিলাদের যোনির প্রদাহসমূহের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত এবং ব্যাপকভাবে সংক্রমিত রোগসমূহের একটি। ১৫-৪৯ বছর বয়সের মহিলাদের যারা যোনিপথের সাদা স্রাবের অভিযোগ করেন তাদের ভিতর অধিকাংশই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। ট্রাইকোমনিয়াসিস ‘ট্রাইকোমনিয়াসিস’ নামক এক ধরনের পরজীবী দ্বারা সংক্রমিত হয়ে থাকে।

কারণসমূহ

  • মাসিকের সময় নোংরা কাপড় পরলে ।
  • অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সহবাস করলে।
  • এই জীবাণু পুরুষের মূত্রতন্ত্রে এবং যোনাঙ্গে থাকে তবে পুরুষের দেহের কোনো ক্ষতি সাধন করে না। কিন্তু যখন যৌনক্রিয়ার মাধ্যমে যোনিপথে এই জীবাণু আসে, তখন এই জীবাণু কার্যকর হয়ে ওঠে এবং আস্তে আস্তে মহিলাদের শরীরে এর লক্ষণ প্রকাশ পায় ।

লক্ষণ এবং উপসর্গসমূহ

  • স্রাব সাদা রং-এর হতে পারে অথবা ফেনিল হলুদ রং –এ স্রাব দেখা যায় এবং স্রাবে দুর্গন্ধ থাকতে পারে।
  • সাধারণত যৌনাঙ্গের আশে পাশে চুলকানি থাকে।
  • মূত্র ত্যাগ এবং যৌনমিলনে ব্যথা বা জ্বালা এবং যোনির আশপাশে প্রদাহ হতে পারে।
  • অনেক সময় এটি কোন প্রকার উপসর্গ ছাড়াই হতে পারে।

প্রতিরোধের উপায়

  • ব্যক্তিগত পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দিতে হবে।
  • মাসিকের সময় পরিস্কার কাপড় ব্যবহার করতে হবে।
  • মাসিকের সময় কাপড় ভালো করে ধুয়ে কড়া রোদে শুকাতে হবে।
  • রোগ সম্পূর্ণভাবে না সারা পর্যন্ত স্বামীর সাথে সহবাসে সংযত হতে হবে এবং স্বামীকে কনডম ব্যবহার করতে বলতে হবে।
  • মহিলাদের আইইউডি পরানোর সময় বিশেষ প্রতিরোধক ব্যবস্থা অবলম্বন করতে হবে।

চিকিৎসা

ট্রাইকোমনিয়াসিস –এর লক্ষণসমূহ দেখা দিলে কোনো প্রকার দ্বিধা বা সংকোচ এবং দেরি না করে সময়মত চিকিৎসা করালে এই রোগ সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়ে যায়।