নবজাতকের যত্ন

একটি শিশু জন্ম নেয়ার সাথে সাথে একটি নতুন পারিপার্শ্বিক অবস্থার মধ্যে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার উপযোগী করে তোলার জন্য বেশ কিছু যত্নের প্রয়োজন হয়। জন্মের থেকে ২৮ দিন পর্যন্তকে নবজাতক বলা হয়।

একটি নবজাতককে তখনই সুস্থ বা স্বাস্থ্যবান শিশু বলা যায়, যখন সে -

  • গর্ভের ৩৭-৪২ সপ্তাহ পূর্ণ করে জন্মায়।
  • জন্মের পরপরই কাঁদে।
  • কোনো সাহায্য ছাড়াই নিঃশ্বাস নেয়।
  • ওজন ২.৫ কিঃ গ্রাঃ বা তার উপরে হয়।
  • তাড়াতাড়ি পারিপার্শ্বিকতার সাথে মানিয়ে নিতে পারে।

অপরিণত শিশু:

যখন কোনো শিশু গর্ভের ৩৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই জন্মগ্রহণ করে তখন তাকে অপরিণত শিশু বলে। অপরিণত শিশুর বৈশিষ্ট্যঃ

  • ওজন ২৫০০ গ্রামের কম
  • মাথা ও পেট আকারে বড় দেখায়
  • মাথার হাড়গুলো নরম হয় এবং দুই হাড়ের মাঝখানে বেশি ফাঁক থাকে
  • বুকের চেয়ে মাথা বড় দেখায়
  • চোখ বন্ধ থাকে
  • চামড়া পাতলা ও লালা চকচকে হয়
  • মাংসের শক্তি কম থাকে
  • আস্তে আস্তে কাঁদে
  • শ্বাস- প্রশ্বাস দ্রুত এবং অনিয়মিত হয়
  • মায়ের স্তন চুষতে কষ্ট হয়
  • কম প্রস্রাব হয় এবং কম আহার হয়।

সূত্রঃ প্রজনন স্বাস্থ্য সহায়িকা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ইউ এন এফ পি এ, ২০০২

প্রথম ৪৮ ঘন্টা / প্রথম সপ্তাহের যত্ন

জন্মের পরপরই নবজাতককে প্রয়োজনীয় যত্ন করতে হবে। কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। নিউমোনিয়া ও ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে হলে –

  • জন্মের সাথে সাথে শিশুকে শুকনো নরম কাপড় দিয়ে আলতো চাপ দিয়ে মুছে নিন
  • আরেকটি পরিষ্কার শুকনো কাপড়ে মাথা ও শরীর জড়িয়ে রাখুন
  • দেরি না করে নবজাতককে মায়ের বুকে দিন
  • জন্মের ৩ দিনের মধ্যে কোনোভাবেই শিশুকে গোসল করানো যাবে না ।

নিউমোনিয়া ও ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে হলে

  • জন্মের সাথে সাথে শিশুকে শুকনো নরম কাপড় দিয়ে আলতো চাপ দিয়ে মুছতে হবে।
  • আরেকটি পরিষ্কার শুকনো কাপড়ে মাথা ও শরীর জড়িয়ে রাখতে হবে।
  • দেরি না করে নবজাতককে মায়ের বুকে দিতে হবে। মায়ের শরীরের উষ্ণতা নবজাতকের জন্য প্রয়োজন।
  • জন্মের ৩ দিনের মধ্যে কোনোভাবেই শিশুকে গোসল করানো যাবে না ।

জন্মের ২৮ দিন পর্যন্ত নবজাতকের বিপদচিহ্ন সমূহ

  • দ্রুত শ্বাস নেয়া অথবা বুকের খাঁচা দেবে যাওয়া
  • বুকের দুধ টানতে না পারা অথবা নেতিয়ে পড়া
  • জ্বর বা শরীর ঠান্ডা হওয়া
  • খিঁচুনি
  • নাভিপাকা

এক্ষেত্রে যা করতে হবে

  • মা ও পরিবারের সদস্যদের বিপদচিহ্ন চিনতে হবে
  • বিপদ লক্ষণ দেখা দিলেই শিশুকে তাৎক্ষণিক নিকটতম সেবাকেন্দ্রে বা সেবাদানকারীর নিকট নিয়ে যেতে হবে

শ্বাসকষ্ট

জন্মের সময় স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাস নিচ্ছে এমন শিশুরও পরে শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা হতে পারে। সংক্রমণ, হৃৎপিণ্ড অথবা ফুসফুসের রোগ, শরীরের উচ্চ অথবা নিম্ন তাপমাত্রা অথবা অন্যান্য অসুস্থতার জন্যও শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে।

শ্বাসকষ্টের লক্ষণঃ

  • দ্রুত শ্বাস (প্রতি মিনিটে ৬০ বা তার বেশি)
  • বুকের নিচের অংশ মারাত্মকভাবে দেবে যাওয়া

বুকের দুধ টানতে না পারা

মা যদি বলেন শিশু জন্মের পর ঠিকমত খেতো কিন্তু বর্তমানে আগের মত খাচ্ছে না বা বুকের দুধ টানতে পারছে না ও নেতিয়ে পড়ছে, তাহলে বুঝতে হবে শিশুর মারাত্মক রোগ আছে। এ অবস্থায় শিশুর মায়ের দুধ খাওয়া পর্যবেক্ষণ করতে হবে ও শিশুকে সেবাদান কেন্দ্রে রেফার করতে হবে ।

জ্বর বা শরীর ঠান্ডা হওয়া

জ্বর (৩৭.৫ ডিগ্রি সেঃ বা ৯৯.৫ ডিগ্রি ফাঃ এর বেশি তাপমাত্রা) -

নবজাতকের শরীরের তাপমাত্রা ৩৭.৫ ডিগ্রি সেঃ বা ৯৯.৫ ডিগ্রি ফাঃ এর উপরে উঠে গেলে জ্বর বা উচ্চ তাপমাত্রা বলা হয় । উচ্চ তাপমাত্রার কারণে পানি ঘাটতি অথবা শরীরের পানি কমে যায়, খিঁচুনি হতে পারে, শরীর অসাড় হয়ে যেতে পারে, সংজ্ঞাহীন এমনকি মৃত্যুও হতে পারে । অতি সত্বর নবজাতককে রেফার করতে হবে ।

নিম্ন তাপমাত্রা (৩৫ ডিগ্রি সেঃ বা ৯৫.৫ ডিগ্রি ফাঃ এর কম তাপমাত্রা) -

শরীরের তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেঃ বা ৯৫.৫ ডিগ্রি ফাঃ এর নিচে নেমে গেলে সেই তাপমাত্রা হল নিম্ন তাপমাত্রা (হাইপোথার্মিয়া) । তাপমাত্রা রক্ষার ব্যবস্থা না নিলে জন্মের পরপরই নবজাতকের নিম্ন তাপমাত্রা হতে (হাইপোথার্মিয়া) পারে । ঘরের তাপমাত্রা কম, নবজাতকের শরীর ভেজা, নবজাতককে কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে না রাখলে, অপরিণত ও কম-জন্ম-ওজনের নবজাতকের ক্ষেত্রে নিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে । প্রসবের ঘরের তাপমাত্রা যাতে ঠান্ডা না থাকে, সেজন্য জন্মের পরপর শিশুকে শুষ্ক ও উষ্ণ রেখে, মায়ের বুকের সাথে লাগিয়ে (Skin to skin contact) বা ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার (KMC) পদ্ধতি অনুসরণ করে এবং রেফার করার প্রয়োজন হলে যাবার পথে মাঝখানে কাপড় না রেখে মা অথবা অন্যকারো বুকের সাথে শিশুকে লাগিয়ে রেখে নিম্ন তাপমাত্রা রোধ করতে হবে ।

শিশুর নিম্ন তাপমাত্রা যদি দ্রুত সনাক্ত করা না যায় এবং চিকিৎসা করা না হয়, তবে শিশুর অবস্থার অবনতি এমনকি মৃত্যুও হতে পারে ।

হাইপোথার্মিয়া প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা -

  • নবজাতককে জন্মের পরপরই মুছে শুষ্ক করা ।
  • জন্মের পরপর অন্তত ২ ঘণ্টা ত্বকে ত্বক লাগিয়ে রাখা।
  • নবজাতকের মাথা ও শরীর শুষ্ক কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে উষ্ণ রাখা।
  • জন্মের পর ৩দিন শিশুকে গোসল না করানো।

খিঁচুনি

বিভিন্ন অসুস্থতায় অনেক সময় শিশুর হাত-পা শক্ত হয়ে যায়, তাকে খিঁচুনি বলে। খিঁচুনির সময় শিশু অজ্ঞান হয়ে যায় এবং সে সময় ডাকলে অথবা নাড়া দিলে সে কোনো সাড়া দেয় না। বিভিন্ন কারণে শিশুর খিঁচুনি হতে পারে । অতিরক্ত জ্বরের সময় প্রায়ই শিশুদের খিঁচুনি হয়। তাই জ্বরের সাথে খিঁচুনি হলে বা অন্য যে কোন কারণে খিঁচুনি হলেই তা বিপদজনক চিহ্ন মনে করে দ্রুত সেবাদান কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে ।

নাভিপাকাঃ

নাভির সংক্রমণের চিকিৎসায় বিলম্ব হলে অথবা সঠিক চিকিৎসা না হলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং শিশুর মৃত্যুও ঘটতে পারে। নাভিতে কোনো কিছু লাগানোর প্রয়োজন নেই ।

নাভির সংক্রমণের লক্ষণ-

  • নাভি থেকে পুঁজ পড়া
  • নাভির চারদিকে চামড়া পর্যন্ত লাল হয়ে যাওয়া
  • নাভিতে দুর্গন্ধ

নাভির যত্ন-

  • লক্ষ্য রাখতে হবে যে নাভিতে কোনো সংক্রমণ আছে কি-না। যেমন- নাভির গোড়ার চারদিকে লাল যা পেটের চামড়া পর্যন্ত বিস্তৃত, নাভি থেকে ঘন পুঁজ, দেরিতে নাভি পড়া ইত্যাদি। সাধারণত ৫-৭ দিনের মধ্যে নাভি পড়ে যায় ।
  • নাভি শুকনো, পরিষ্কার ও খোলামেলা রাখতে হবে ।
  • নাভিতে কোনো কিছু লাগানো যাবে না ।
  • যদি সংক্রমণ দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত সেবাদান কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে ।

জন্ডিস

অধিকাংশ নবজাতক বিশেষ করে অপরিণত শিশুদের যকৃত অপরিণত থাকে বলে পিত্তরসে যথেষ্ট বিলিরুবিন নিঃসরণ করতে পারে না। ফলে বিলিরুবিন রক্তে চলে আসে এবং শিশুর জন্ডিসের লক্ষণ দেখা দেয়। এই জন্ডিসকে শরীরবৃত্তীয় জন্ডিস বলে। জন্মের ২ থেকে ৫ দিনের মধ্যে বিশেষ করে মাথা ও মুখ হলুদ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে শিশুর সমস্ত শরীর হলুদ বর্ণ ধারণ করে। সাধারণত ১-২ সপ্তাহের মধ্যে শরীরের রং স্বাভাবিক হয়ে আসে। জন্ডিস যেন মারাত্বক আকার ধারণ না করে সেজন্য -

  • শিশুকে প্রতিদিন খালি গায়ে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা রোদে রাখতে হবে (এ সময় শিশুর চোখ ও মাথা ঢেকে দিতে হবে।
  • শিশুকে ঘন ঘন বুকের দুধ দিতে হবে।
  • তবে যদি জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিশু জন্ডিসে আক্রান্ত হয় এবং জন্ডিসের সাথে অন্যান্য লক্ষণ যেমন- দুর্বলতা, নিস্তেজ হয়ে যাওয়া, বুকের দুধ না খাওয়া ইত্যাদি থাকে তবে জরুরি ভিত্তিতে শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

সূত্রঃ প্রজনন স্বাস্থ্য সহায়িকা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ইউ এন এফ পি এ, ২০০২

সমস্যা চিহ্নিতকরণ

বেশিরভাগ শিশুই সুস্থভাবে জন্মগ্রহণ করে । জন্মের পর শিশুকে খুব দ্রুত সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হয় । সেজন্য শিশু জন্মের প্রথম কয়েক ঘন্টার যত্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । পরিবারের লোকজন নবজাতকের বিপদজনক চিহ্নগুলো সম্পর্কে জানে না, তাই এসম্পর্কে তারা সময়মত সচেতন হয় না ও উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে না । সেবাদানকারীদের জন্য কিছু সম্ভাব্য সমস্যা ও সমস্যার সমাধান নিম্নে দেয়া হলোঃ

সমস্যাগুলো

  • নাড়ির কাটা অংশের চারদিকে এবং নাভির চারপাশে পেটের চামড়া লাল হয়ে যাওয়া ।
  • নাড়ি কাটার পর কোন কিছু লাগানো বা ব্যবহার করা ।
  • নবজাতকের বিপদচিহ্ন দেখা দিলে চিকিৎসা না করা বা চিকিৎসকের কাছে না নিয়ে যাওয়া বা সেবাদানকেন্দ্রে না যাওয়া ।

উপরের সমস্যাগুলোর কয়েকটি সম্ভাব্য সমাধান

  • যদি নাভিতে সংক্রমণ দেখা যায় তাহলে দ্রুত সেবাদানকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে ।
  • নাভিতে কোনো কিছু লাগানো যাবে না। নাভি শুকনো, পরিষ্কার ও খোলা রাখতে হবে ।
  • নবজাতকের বিপদচিহ্ন (শ্বাসকষ্ট, বুকের দুধ টানতে না পারা, জ্বর বা শরীর ঠান্ডা হওয়া, খিঁচুনি, নাভিপাকা) দেখা দিলে অতিসত্বর সেবাদানকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে ।

নবজাতকের জন্য জন্মের পরপরই মায়ের দুধ

শালদুধ কী?

নবজাতকের জন্য জন্মের পরপরই মায়ের দুধই একমাত্র খাবার। শিশু জন্মের পরপরই মায়ের শরীরে প্রথম ঘন আঠালো হলুদ বর্ণের যে দুধ বের হয় তাকে শালদুধ বলে ।

শালদুধের উপকারিতা

  • শালদুধ শিশুর জন্য প্রথম টিকা হিসেবে কাজ করে এবং শিশুকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।
  • শালদুধ পরিমাণে কম হলেও শিশুর জন্য যথেষ্ট ও পরিপূর্ণ পুষ্টি যোগায় ।
  • শালদুধ খাওয়ালে শিশুর রাতকানা, জন্ডিস ও অন্যান্য রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে ।
  • শালদুধ খাওয়ালে মা এবং শিশু উভয়েই সুস্থ থাকে।
  • শালদুধ খাওয়ালে মায়ের প্রসবকালীন রক্তক্ষরণ কম হয় এবং জরায়ু দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে ।

শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানোর উপকারিতা

শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানো বলতে বুঝায় শিশুকে পূর্ণ ছয় মাস কেবলমাত্র বুকের দুধই খাওয়ানো। এসময় একফোঁটা পানিরও প্রয়োজন নেই ।

শিশুর জন্য

  • ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ অন্যান্য অসুখ-বিসুখ কম হয় ।
  • অপুষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে ।
  • শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশে সহায়তা করে ।

মায়ের জন্য

  • জন্মের পরপরই মায়ের দুধ খাওয়ালে রক্তক্ষরণ কম হয়, তাই মা রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি থেকে রক্ষা পায় ।
  • মায়ের স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের সম্ভাবনা কম থাকে ।
  • পূর্ণ ৬ মাস পর্যন্ত সঠিক নিয়মেমায়ের দুধ খাওয়ালে পুনরায় গর্ভধারণের সম্ভাবনাও কম থাকে । মা ও শিশু উভয়ের জন্যও উপকারী ।
  • মায়ের দুধ খাওয়ালে মায়ের সাথে শিশুর নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে । 
  • মায়ের দুধ খাওয়ালে পরিবারের খরচ বাঁচে ।

মায়ের দুধ খাওয়ানোর সঠিক পদ্ধতি

  • মাকে আরাম করে বসে অথবা শুয়ে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। বসা অবস্থায় পিঠ সোজা রাখতে হবে ।
  • শিশু মায়ের গায়ের সাথে লেগে থাকবে ।
  • শিশুর মাথা ও শরীর সোজা থাকবে ।
  • শিশু মায়ের স্তনের দিকে সম্পূর্ণ ফেরানো ও শিশুর নাক স্তনের বোঁটার বিপরীত দিকে থাকবে ।
  • শিশুর পুরো শরীর আগলে রাখতে হবে ।
  • স্তনের সাথে শিশুর সঠিক সংযোজন

সংযোজনের আগে স্তনের বোঁটা উপরের ঠোঁটে বারে বারে লাগাতে হবে। শিশু বড় হাঁ করলে তাকে স্তনে লাগাতে হবে এবং নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবেঃ

  • থুতনি ও নাক স্তনের সাথে লেগে থাকবে ।
  • বড় করে মুখ খোলা থাকবে ।
  • শিশুর নিচের ঠোঁট বাইরের দিকে উল্টানো থাকবে ।
  • এরিওলা (বোঁটার চারপার্শ্বের কালো অংশ) নিচের দিকের চেয়ে মুখের উপরের দিকে বেশি দেখা যাবে ।
  • মায়ের বুকের দুধ খেতে শিশুর অসুবিধা হলে বারবার চেষ্টা করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ।
  • গর্ভফুল পড়ার অপেক্ষা না করে তাড়াতাড়ি শিশুকে মায়ের বুকের শালদুধ খাওয়ান ।
  • ৬ মাস পর্যন্ত বুকের দুধই শিশুর একমাত্র খাদ্য ও পানীয়। দুধ খাওয়াতে মাকে উৎসাহ দিন ।
  • ৬ মাস পর্যন্ত বুকের দুধ ছাড়া অন্য কোনো খাবার যেমন গরু, ছাগলের দুধ, কৌটার দুধ, পানি, মধু ইত্যাদি কিছুই দেয়া যাবে না।