নিরাপদ প্রসব

নিরাপদ প্রসব ব্যবস্থা ও এর জন্য পরিকল্পনা

প্রসব একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, কিন্তু মনে রাখতে হবে, যে কোনো মুহূর্তে জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। যদি অদক্ষ এবং অপরিচ্ছন্নভাবে প্রসব করানো হয় তবে মা ও শিশু উভয়ের প্রসবকালীন সংক্রমণ এবং শিশুর টিটেনাস হতে পারে। সবকিছু স্বাভাবিক হলেও এসময়ে যত্নের প্রয়োজন রয়েছে।

প্রসবের সময়ে যত্ন নেয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে –

  • সংক্রমণ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়া।
  • যতটুকু সম্ভব মা ও শিশুর কম আঘাতের মাধ্যমে প্রসব সম্পন্ন করা।
  • যে কোনো ধরনের জটিলতাকে মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকা।
  • শিশুর যত্ন নেয়া, যেমন: শ্বাস-প্রশ্বাস সঞ্চালনে সহায়তা, নাড়ির যত্ন, চোখের যত্ন ইত্যাদি আর এসবই শিশুর সংক্রমণ রোধ ও সুস্থতার জন্য প্রয়োজন।

মা ও শিশুর জীবনের ঝুঁকি এড়াতে নিরাপদ প্রসব ব্যবস্থা এবং পরিকল্পনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই পরিবারের সদস্যদের প্রসবকালীন সময়ে করণীয়, প্রসূতি ও নবজাতকের তাৎক্ষণিক যত্ন ও জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পূর্বপ্রস্তুতি থাকা জরুরি ।

  • স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা ক্লিনিকে প্রসব করানোই নিরাপদ। এখানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেবাদানকারীরা থাকেন এবং যেকোনো জরুরি অবস্থা মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থাকে, তাই আগে থেকে কোন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, ক্লিনিকে বা হাসপাতালে প্রসব করাবে তা ঠিক করে রাখতে হবে।
  • জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাবার জন্য যানবাহনের বাবস্থা রাখতে হবে।
  • ২/৩ জন রক্তদাতা ঠিক করে রাখতে হবে।
  • গর্ভাধারণের শুরু থেকেই টাকা-পয়সা জমিয়ে রাখতে হবে।
  • যদি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা ক্লিনিকে প্রসব করানো সম্ভব না হয়, তবে সেক্ষেত্রে বাড়িতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ধাত্রী বা স্বাস্থ্যকর্মীকে দিয়ে প্রসব করাতে হবে। এজন্য তার সাথে আগে থেকেই যোগাযোগ করে রাখতে হবে ।
  • বাড়িতে প্রসব হলে প্রসব সরঞ্জাম যেমন, পরিষ্কার সুই -সূতা, সাবান, শুকনা সূতি কাপড় /তোয়ালে, ব্যান্ডেজ , ক্লিপ সংগ্রহ করে রাখতে হবে। প্রসবের জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
  • প্রসবকালীন সময়ে যে কোনো জাতিলতা দেখা দিলে গর্ভবতীকে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।