ইমপ্ল্যান্ট

বাংলাদেশের নীতিমালা অনুযায়ী কেবলমাত্র বিবাহিত মহিলাদের জীবিত সন্তান থাক বা না থাক, ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহার করতে পারেন। বয়সের সাথে ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহারের কোন সম্পর্ক নেই। এমনকি নব বিবাহিত মহিলাও ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহার করতে পারেন। অন্য কোন কারণ না থাকলে ম্যানোপজ পর্যন্ত ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহার করা যায়।
না, মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ইমপ্ল্যান্ট শরীরে কোন ক্ষতি করে না। তবে গর্ভধারণের সম্ভাবনা আছে ও জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ হতে পারে। তাই ইমপ্ল্যান্ট খুলে নতুন সেট পরা যায় বা অন্য কোন জন্মনিরোধক ব্যবহার করা যেতে পারে।
হ্যাঁ, ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহারকারী মহিলা গর্ভবতী হলে তা খুলে ফেলার জন্য সেবা কেন্দ্রে যাবেন।
না, ইমপ্ল্যান্ট প্রয়োগের পূর্বে তলপেট পরীক্ষা অত্যাবশ্যক নয়। তবে, মহিলার প্রজননতন্ত্রে কোন অসুবিধা আছে কি-না তা জানার জন্য তলপেট পরীক্ষা করাই ভাল।
হ্যাঁ, আমাদের দেশে ইমপ্ল্যান্ট খোলা নিশ্চিত করা এবং গ্রহীতার কোন শারীরিক অসুবিধা আছে কি-না দেখার জন্য তাকে ৩ বার ফলো-আপে আসতে হবে।
 বিনয়ের সাথে তাকে প্রশ্ন করতে হবে কেন তিনি ইমপ্ল্যান্ট খুলতে চান।  তাকে আশ্বস্ত করতে হবে।  কাউন্সেলিং-এর পরে অবশ্যই পরিষ্কারভাবে তাকে প্রশ্ন করতে হবে যে তিনি ইমপ্ল্যান্ট রাখতে চান না কি খুলে ফেলতে চান এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, ৭০ কিলোগ্রামের চেয়ে বেশি ওজনের মহিলারা কম ওজনের মহিলাদের চেয়ে গর্ভবতী হবার সম্ভাবনা বেশি। তারপরও ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহার এইসব মহিলাদের জন্য খুবই কার্যকরী।
ইমপ্ল্যান্ট নমনীয় এবং চামড়ার নিচে ইমপ্ল্যান্ট ভাঙে না। অপসারণের আগ পর্যন্ত যে জায়গায় স্থাপন করা হয় ঐ জায়গায় থাকে।
হ্যাঁ, সেবাকেন্দ্রে থেকে ফিরে আসার পরপরই একজন মহিলা তার দৈনন্দিন কাজ করতে পারেন। তবে, খেয়াল রাখতে হয় যাতে তিনি ঐ জায়গায় হঠাৎ কোন আঘাত না পান বা না ভেজান।